শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
module:0facing:0;
hw-remosaic: 0;
touch: (-1.0, -1.0);
modeInfo: ;
sceneMode: Auto;
cct_value: 0;
AI_Scene: (-1, -1);
aec_lux: 0.0;
hist255: 0.0;
hist252~255: 0.0;
hist0~15: 0.0; ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চাঁদাবাজিতে চলছে
হিউম্যান হলার, গন্তব্যে না যেয়ে লায়লা সিএনজি থেকে ইউটার্ণ করে ফ্রী পোর্টে অবৈধ পার্কিং
মোঃ শাহরিয়ার রিপন ঃ- চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ফ্রী পোর্টে অবৈধ ষ্টান্ড করে চলছে চাঁদাবাজি, হিউম্যান হলার গন্তব্যে না যেয়ে লায়লা সিএনজি থেকে ইউটার্ণ করে ফ্রী পোর্টে অবৈধ ষ্টান্ড বানিয়ে চাঁদাবাজির মহড়া চলছে, যুক্ত আছে খোদ ট্রাফিকের টিআই ও সার্জেন্ট অভিযোগ করে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর কার্ডধারী সদস্য মোস্তাহীদ মারুফ, এসময়ে তিনি জানান, চার চাকার লেগুনা বা হিউম্যান হলার গাড়ি গুলো এয়ারপোর্ট থেকে অলংকার পর্যন্ত চলার অনুমতি রয়েছে, কিন্তু ড্রাইভার’রা সেটা না করে মাইলের মাথা লায়লা সিএনজি স্টেশনের সামনের থেকে ইউটা্র্ন করে সি-ইপিজেড এর সামনে ইপিজেড স্টুডিও এর সামনে থেকে শুরু করে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস পর্যন্ত পার্কিং করে গাড়ি প্রতি ১২০ টাকা দৈনিক এবং মাসে ২ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে সিরিয়ালে গাড়ি গুলো এয়ারপোর্টে যাচ্ছে, যা সম্পুর্ন অবৈধ ও বেআইনি, আর এই চাঁদাবাজির নেপথ্যে নেতৃত্বে আছে কাশেম সহ আরো ৭ জন লাইনম্যান।
এ সময়ে মোস্তাহীদ মারুফ সহ শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যরা এই গাড়িগুলো গন্তব্যে না যেয়ে এখান থেকে ঘুরানোর কারণ জানতে চাইলে তাদের গায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে এসময়ে মারুফ আহত হয়,
চাঁদাবাজির বিষয়ে ফ্রী পোর্টের মোড়ের ট্রাফিক ইনচার্জ কামরুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি গাড়ি দুর্ঘনায় মেডিকেলে আছি অসুস্থ, তবে ১২ নং গাড়িগুলো ফ্রীপোর্টে দাড়ায়ে যাত্রী নেওয়ার সুযোগ নেই, তারা যদি সেটা করে তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিবো।
ট্রাফিক বিভাগের এ্যাডমিন মশিউর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,
চাঁদাবাজির কথা শুনেছি, আমাদের লোকের নাম ও এসেছে তদন্ত চলছে, প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,
১২ নাম্বার গাড়িগুলো এয়ারপোর্ট থেকে অলংকার পর্যন্ত যাওয়ার পারমিট আছে মাঝখানে কোথাও পার্কিং করার অনুমতি নাই, যদি তারা ফ্রী পোর্টে পাকিং করে তাহলে আমাদের সার্জেন্ট ও টিআই সাহেব তার ব্যবস্থা নিবেন। চাঁদাবাজি যেই করুক তার কোন ছাড় নেই,
চাঁদাবাজি টাকা গুলো কার কাছে যায় এবং এই টাকা কি কাজে ব্যাবহার হয় সে ব্যাপারে চাঁদাবাজিতে
অভিযুক্ত কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,
আমাদের কয়েকজন লোক রাস্তায় ডিউটি করে তারা ২০/ ৩০ টাকা নিলেও নিতে পারে, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে বললে, তিনি আমতা আমতা করে বলেন এ ধরনের কোন চাঁদা আমরা উঠাই না, রাস্তায় লোক দিয়ে ডিউটি করানো এটা কি ট্রাফিক বিভাগের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে, তিনি জানান না, এবং এ ব্যাপারে কোন উত্তর দিতে পারেননি।
এখন ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।
কাশেম এর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে গাড়ি প্রতি দৈনিক ১২০ টাকা ও মাসে ২ হাজার টাকার চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট।
সরেজমিনে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশের সামনে থেকে গাড়িগুলো ইউটার্ন করছে কিন্তু নিরব ভূমিকা পালন করছে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা, গাড়িগুলো লায়লা সিএনজি স্টেশনের সামনের থেকে ইউটার্ন করে ঘুরিয়ে ডুকে পড়ে পাম্পে সেখান থেকে গ্যাস না নিয়েই টান দিয়ে চলে যায় ইপিজেড স্টুডিও এর সামনে।
সেখানে সিরিয়ালে পার্কিং করে, সিরিয়াল মেইনটেইন করে নাসির এরপর কাশেমের নেতৃত্বে আছে আরও ৭ জন লাইনম্যান
চট্টগ্রাম মহানগর বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর সদস্য ও নেতৃবৃন্দরা লায়লা সিএনজি স্টেশনের সামনে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন পালন করে, এসময়ে নেতৃবৃন্দরা বলেন, রোড পার্মিট ছাড়া কোন গাড়ি চলতে পারবে না,
নির্দিষ্ট জায়গার গাড়ি সিলিং অনুযায়ী চলতে হবে,
গাড়ির হয়রানি বন্ধ করতে হবে,
গাড়ির সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে,
কাশেম সহ তার লাইনম্যান যারা চাঁদাবাজি করছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, না হলে আরো কঠোর কর্মসুচি পালন করার হুশিয়ারি দেন তারা।